কস্তুরি হলুদ গুড়া (Wild Turmeric ) কস্তুরী হলুদ দেখতে অনেকটাই বাহির থেকে আদার মত। হলুদের ভেতরটা হলুদ কিন্তু কস্তুরী হলুদের ভেতরটা সাদা। হলুদ রান্নায় ব্যবহার হয়, কস্তুরি হলুদ রুপচর্চায় ব্যবহার করা হয়। সাধারনত দক্ষিণ এশিয়ার দেশ গুলোতে এই হলুদ জন্মায়। যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে এখন ত্বকের যত্নে কস্তুরি হলুদের ব্যবহার ব্যপক ভাবে বেড়ে গেছে। আর এখন বর্তমান যুগে কস্তুরী হলুদ বলতে গেলে একটি ন্যাচারাল কসমেটিকস। ত্বকের যত্নে কস্তুরী হলুদের উপকারিতা: পিগমেন্টেশান কমায় ও উজ্জ্বলতা বাড়ায় একচামচ কস্তুরী হলুদ সামান্য দুধের সাথে মিশিয়ে ১০ মিনিট রেখে পরিষ্কার পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই মিংশ্রনটির সপ্তাহে ১ বার রাতে ব্যবহার ত্বককে করবে গভীর থেকে পরিষ্কার এবং পরের দিন সকাল বেলাতেই বুঝতে পারবেন ত্বক কতটা ব্রাইট ও ফ্রেশ লাগছে| পিম্পল ও দাগ দূর করতে কস্তুরী হলুদে রয়েছে অসংখ্য Anti Bacterial Agent। তাই পিম্পল, একনে ও দাগ দূর করতে এর কোনো জুড়ি নেই। হলুদের সাথে নিম পাউডার ও মধু মিশিয়ে শুধু একনে স্পটে ব্যবহার করলে উপকার দেখা যাবে চোখে পরার মত।সপ্তাহে ১ বার রাতে লাগাবেন। মুখের অবাঞ্ছিত লোম পরিষ্কার করে কস্তুরী হলুদ বেশ কার্যকরি ত্বকের এই সমস্যাটি দূর করার জন্য। অনেক সময় হরমোন জনিত সমস্যার জন্য প্রায়শ মেয়েরা এই সমস্যাটি ভোগ করে থাকেন। কস্তুরী হলুদের নিয়মিত ফেসপ্যাক এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিবে। ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করে ত্বকের তেল তেল ভাব বেশ সমস্যা তৈরির কারণ। যেমনঃ ব্লাকহেডস, ব্রন, পিগমেন্টেশন সহ আরও অনেক। কস্তুরী হলুূদ আপনার এই সমস্যাটি সমাধান করবে। ত্বকের তারুণ্য ফিরে পেতে কস্তুরী হলুদ ত্বকের বলিরেখা দূর করে। কারন এতে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধি করে। ফলে ত্বকের সেল গুলো হয়ে উঠে উজ্জ্বল। সাবধানতা কস্তুরি হলুদ খাওয়া যায় না। তবে কস্তুরী হলুদ বা ওয়াইল্ড টার্মেরিক ত্বকের জন্য বিশেষ উপকারী হলেও কিছু নিয়ম মেনে এটি ব্যবহার করতে হয়। কস্তুরী হলুদ কখনোই শুধু মাত্র একক উপাদান হিসেবে সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করবেন না। যেকোন প্যাক বা পাউডারের সাথে পরিমাণমত মিশিয়ে ব্যবহার করবেন।